ঈদের ছুটিতে রেকর্ড পর্যটকের পদভারে মুখরিত কক্সবাজার

এম,এস রানা :

ঈদুল ফিতরের টানা সরকারি ছুটিতে  পর্যটন নগরী কক্সবাজার রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক ও দর্শণার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। গোটা জেলা।  পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড়।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ঈদুল ফিতর মানেই পর্যটন মওসুম। তাই পর্যটকদের সাদরে বরণ করে নিতে পবিত্র রমযান থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতির ইতি টানেন হোটেল-মোটেল মালিকরা। গত বৃহস্পতিবার,শুক্র ও শনিবার মিলে ৩ দিনে রেকর্ড করা অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটেছে বলে দাবি পর্যটন বিশ্লেষকদের।

বৈরি আবহাওয়ার পরিবেশ কিছুটা অনুকূল পরিস্থিতিতে থাকায় পর্যটক ও দর্শণার্থীর সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষ করে, শহরে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ওপ্রান্ত-এপ্রান্ত ও দেশি-বিদেশি মানুষের পদভার, যেন মিলন মেলার কেন্দ্র বিন্দু। সৈকতের বালিয়াড়িতে বসে পড়ন্ত বিকালের রক্তিম সুর্যের রঙ্গিণ কিরণ বেষ্টিত জলরাশি ও সাগরের বিশালাকৃতির আচড়ে পড়া ঢেউ দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সকল শ্রেণীর মানুষ। শিশু-কিশোর তো আছেই, এবারের ঈদ ভ্রমণে পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়েই নারীদের পদচারণার কমতি নেই বলে দাবি অনেক পরিবার প্রধানদের।

এদিকে অন্যান্য ঈদের তুলনায় সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার ইনানী ও পাটয়ারটেক পাথুরে বীচে প্রকৃতি প্রেমি পর্যটকদের উপচে পড়া ঢল নামেনি। মেরিন ড্রাইভ সড়ক মেরামতের কারনে বন্ধ থাকায় শত ইচ্ছা থাকা সত্তেও আসতে পারে নি, এছাড়াও ঈদের দিন থেকে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত সহ বৈরী আবহাওয়া পর্যটকদের বাধাঁগ্রস্হ করেছে।  যে সব পর্যটক শত বাধাঁকে উপেক্ষা করে ইনানী বীচে আসেছে তাদের পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ।

গাড়ী চালকদের গলাকাটা ভাড়া আদায় ছাড়াও বীচে চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানা যায়। ঢাকা থেকে স্ব-পরিবারে এসেছে রিয়াজুল ইসলাম ও মাইসা ইসলাম দম্পতি, তারা বলেন সংবাদপত্র ও বিভিন্ন মিডিয়ায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বিষয়ে জেনে এসেছিলাম,আজ ইনানীর পাথুরে বীচ  সরাসরি দেখলাম খুব ভাল লাগে অনেক গুলো ছবি উঠিয়েছি, তবে গাড়ি ভাড়া সহ থাকা খাওয়ার খরচ একট বেশী হলেও মনে তৃপ্তি নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।  তাছাড়াও বীচে তুলনামূলক দেশ-বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা কম হওয়াতে এখানকার মৌসুমী ব্যবসায়ী ও হোটেল রেস্তোরা মোটেলের ব্যবসা যাচ্ছে মন্দা।

বীচের রকমারি ফল ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার জানান,কক্সবাজার থেকে গাড়ি আসতে না পারায় এবার ঢাকা চট্রগ্রামের পর্যটক খুব কম যারা আসছে তাদের অধিকাংশই স্থানিয় বাসিন্ধা পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ার  কারনে এবারে ব্যবসায় খুব মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। তাছাড়া, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, সীমান্ত জনপদ টেকনাফ উপজেলার প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, রামু উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান রামকুট ও সুউচ্চ পাহাড় বেষ্টিত নয়নাভিরাম হিমছড়ির ঝর্ণাধারা, দীপাঞ্চলীয় মহেশখালী উপজেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান আদিনাথ মন্দির ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়ার বাতিঘর এলাকা দর্শণার্থীদের পদভারে মুখরিত।